ফসল ঘরে ওঠার আগেই পোকার থাবা, উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় বোরো ধান পাকার ঠিক আগ মুহূর্তে ক্ষেতে দেখা দিয়েছে কারেন্ট পোকা বা বাদামি গাছফড়িংয়ের আক্রমণ। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে আধা কাঁচা-পাকা ধান কেটে নিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ ক্ষেতে কীটনাশক ছিটিয়ে পোকা দমনের চেষ্টা করছেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২১ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাওর এলাকার প্রায় ৯০ শতাংশ জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছেন কৃষকরা। তবে কিছু এলাকায় পোকার আক্রমণের খবর পেয়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা দ্রুত কৃষকদের মাঝে পরামর্শ কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
রবিবার (৪ মে) সকালে উপজেলার নাজিরপুর ও লেংগুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, অনেক জমিতে আধা কাঁচা-পাকা ধান দুলছে। কিছু জমির ধানগাছ মরে গেছে, আবার অনেক গাছের গোড়ায় অসংখ্য পোকা দেখা যাচ্ছে।
নাজিরপুর এলাকার কৃষক আব্দুল হেকিম ও লোহারগাঁও গ্রামের কৃষক মোশাররফ হোসেন জানান, ধান চাষে অনেক খরচ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে শ্রমিকদের দিয়ে কাঁচা-পাকা ধান কেটে নিচ্ছেন। যেসব ক্ষেতে ধান এখনো কাঁচা, সেখানে কীটনাশক ছিটিয়ে দিচ্ছেন। তাঁদের আশঙ্কা, সময়মতো পোকা দমন করতে না পারলে বোরো উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।
কলমাকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর পোকার আক্রমণ গত বছরের তুলনায় বেশি। এটি মূলত বাদামি গাছফড়িং বা কারেন্ট পোকা। এটি কীটনাশক প্রয়োগে দমন করা যায়। তবে যেসব ক্ষেতে ধান পেকে গেছে, সেসব জমির ধান দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’