Times Today
অনুসন্ধান করতে টাইপ করুন

‘গ্রে ডিভোর্স’ কী? কেন পরিণত বয়সে আলাদা হয়ে যাচ্ছেন দম্পতিরা

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট
১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৩
‘গ্রে ডিভোর্স’ কী? কেন পরিণত বয়সে আলাদা হয়ে যাচ্ছেন দম্পতিরা

৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী দম্পতিরা বহু বছর একসঙ্গে থাকার পর আলাদা হয়ে গেলে তাকে বলে গ্রে ডিভোর্স। বিল গেটস, এ আর রাহমান বা আমির খানের মতো তারকা ও ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে যেমনটা দেখা গেছে। এ ধরনের বিচ্ছেদ বাড়ছে। কেন বাড়ছে গ্রে ডিভোর্স আর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মানুষের জীবনে প্রভাবই বা কী পড়ছে।

কেন ঘটছে গ্রে ডিভোর্স?

আবেগের ঘাটতি

আগে মানুষ সমাজ বা দায়িত্বের কথা ভেবে সম্পর্ক বা বিয়ে করতেন। তখন মনের মিল বা ভালোবাসার গভীরতার মতো বিষয়কে অতটা গুরুত্ব দেওয়া হতো না। কিন্তু এখন সবাই এমন সঙ্গী চান, যাঁকে তিনি বুঝতে পারবেন আর যিনি তাঁকে বুঝবেন। তাই অনেক সময় আবেগের ঘাটতি দেখা যায়।

এম্পটি নেস্ট সিনড্রোম

গ্রে ডিভোর্সের আরেকটা বড় কারণ হলো এম্পটি নেস্ট সিনড্রোম। যখন সন্তানেরা পড়ালেখা, চাকরি, বিয়ে বা অন্য কোনো কারণে মা-বাবার কাছ থেকে দূরে চলে যান, তখন বয়স্ক মা-বাবার মনে যে শূন্যতা, মনোবেদনা আর আবেগগত জটিলতা তৈরি হয়, তাকে বলে এম্পটি নেস্ট সিনড্রোম। অনেক দম্পতি শুধু সন্তান মানুষ করার জন্য একসঙ্গে থাকেন। কিন্তু যখন সন্তানেরা বড় হয়ে আলাদা হয়ে যান, তখন একসঙ্গে থাকার আর কোনো সাধারণ ক্ষেত্র থাকে না। ফলে দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে।

অবিশ্বাসের ঘেরাটোপ

সম্পর্কে একসময় সন্দেহের বীজ বড় হতে থাকে। প্রতিনিয়ত একে অন্যকে সন্দেহ করতে থাকেন সঙ্গীরা। ফলে অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। আবার অনেক সময় সঙ্গীর সঙ্গে আবেগগত বা শারীরিক সম্পর্কে ঘাটতি দেখা দেয়, তখনো সঙ্গী অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারেন। এতে দাম্পত্য জীবনে সমস্যা তৈরি হয়।

আর্থিক দ্বন্দ্ব

এটি একটি বড় সমস্যা। আগে অনেক নারীই আর্থিক বিষয়ে পুরুষের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। কিন্তু এখন অনেকেই স্বাবলম্বী। আর্থিক দিক থেকে তাঁরা স্বাধীন। ফলে অবসরপরবর্তী পরিকল্পনা বা আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে দম্পতির মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।

মানসিক চ্যালেঞ্জ

একাকিত্ব ও পরিচয়সংকট

এ ধরনের বিচ্ছেদের সবচেয়ে বড় মানসিক চ্যালেঞ্জ হলো নিজের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন, ‘আমার সঙ্গী যদি না থাকে, তাহলে আমি কে?’ অনেক বছর একসঙ্গে থাকার পর যদি বোঝা যায় যে মনের সঙ্গে মনের আর মিল নেই, তখন একা এক নতুন জীবন শুরু করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।

সমাজের কটুকথা

অনেক সময় ডিভোর্সিদের সমাজের খারাপ মন্তব্য সহ্য করতে হয়। এতে মানুষ আরও একা হয়ে পড়ে। পাড়াপ্রতিবেশী বা আত্মীয়স্বজনেরা বলাবলি করেন, ‘এই বয়সে ডিভোর্স?’, ‘এখন তো জীবন শেষের পথে!’ এ রকম মন্তব্য শুনে মানসিক কষ্ট আরও বেড়ে যায়।

ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয়

ডিভোর্সের পর অনেকেই দুশ্চিন্তা করতে থাকেন, ‘আমি একা থেকে যাব না তো?’, ‘মনের মতো আর কাউকে কি পাব?’, ‘জীবনটা কাকে নিয়ে কাটাব?’ এ রকম ভাবনা মনে ভয় আর দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেয়। এতে মন আরও অস্থির হয়ে যায়।

মানসিক স্বাস্থ্যে গ্রে ডিভোর্সের প্রভাব

ডিভোর্সের পর কেমন লাগবে, তা অনেকটা ব্যক্তির জীবনের ওপর নির্ভর করে। যিনি ব্যস্ত জীবনযাপন করেন, স্বাধীনচেতা বা যাঁর জীবন আনন্দে ভরা, তিনি নতুন আশা নিয়ে ভালো থাকতে পারেন। কিন্তু যাঁর পাশে কেউ নেই; না বন্ধু, না পরিবার, না টাকার জোর, তাঁরা দুঃখ, হতাশা, একাকিত্ব আর মানসিক চাপের মধ্যে পড়ে যেতে পারেন। এসবের প্রভাব শরীরেও পড়তে পারে।

কীভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়?

প্রতিদিন একটা রুটিন মেনে চলুন, কোনো কাজে সক্রিয় থাকুন। পুরোনো বন্ধুদের খোঁজখবর নিন, নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। মানুষের সঙ্গে থাকলে মন ভালো থাকে, একা লাগে না।

নিজের জমানো টাকা থাকুক না থাকুক, বুঝেশুনে টাকা খরচ করুন। খরচ কমান, সঞ্চয় করুন আর ভবিষ্যতের জন্য একটা ভালো পরিকল্পনা করুন। এতে দুশ্চিন্তা কমবে।

জীবন গুছিয়ে তুলতে কোনো কাউন্সেলরের সাহায্য নিতে পারেন। কথা বললে মন হালকা হয়, সঠিক পথে এগোনো সহজ হয়। সাহায্য নেওয়া দুর্বলতা নয়, বুদ্ধিমানের কাজ।

ডিভোর্সের পর জীবন নতুনভাবে শুরু করতে চাইলে আগে ভাবতে হবে আপনি আগে কেমন ছিলেন, আর এখন কী হতে চান।

প্রথমে নিজের যত্ন নিন, প্রতিদিনের একটা রুটিন তৈরি করুন আর নিজের ওপর বিশ্বাস করতে শিখুন। এরপর ভাবুন, এখন আপনি কী করতে চান।

নতুন কিছু শিখবেন? কোনো শখ মেটাবেন নাকি সমাজসেবা করবেন, সেটা আগে ঠিক করুন।

নতুন কিছু শেখারও এটা ভালো সময়, যেমন চাকরির জন্য দক্ষতা বাড়ানো বা নিজের উন্নতি করা।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস



তারেক রহমান শিগগির দেশে ফিরবেন, দলীয়-জাতীয় পর্যায়ে প্রস্তুতি চলছে: এ্যানি

তারেক রহমান শিগগির দেশে ফিরবেন, দলীয়-জাতীয় পর্যায়ে প্রস্তুতি চলছে: এ্যানি

বিতর্কিত ৩ সংসদ নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি

বিতর্কিত ৩ সংসদ নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি

আগামী সপ্তাহে বৈঠক করে এনবিআর সমস্যার সমাধান করা হবে

আগামী সপ্তাহে বৈঠক করে এনবিআর সমস্যার সমাধান করা হবে

চুয়াডাঙ্গায় জামায়াতে ইসলামীর মাদক বিরোধী সমাবেশ

চুয়াডাঙ্গায় জামায়াতে ইসলামীর মাদক বিরোধী সমাবেশ

জি-৩ রুই মাছ চাষ নতুন সম্ভাবনার হাতছানি

জি-৩ রুই মাছ চাষ নতুন সম্ভাবনার হাতছানি

নেত্রকোণায় মালিকবিহীন ভারতীয় মদ উদ্ধার করেছে বিজিবি

নেত্রকোণায় মালিকবিহীন ভারতীয় মদ উদ্ধার করেছে বিজিবি

গুইসাপ ভাসছিল পুকুরে, কুমির গুজবে তোলপাড়

গুইসাপ ভাসছিল পুকুরে, কুমির গুজবে তোলপাড়

প্রবেশপত্র না পেয়ে পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত ১৭ শিক্ষার্থী

প্রবেশপত্র না পেয়ে পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত ১৭ শিক্ষার্থী

চুয়াডাঙ্গায় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন

চুয়াডাঙ্গায় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন

যুবলীগ নেতা পেল ‘জুলাই যোদ্ধা’ স্বাস্থ্য কার্ড, বিব্রত প্রশাসন

যুবলীগ নেতা পেল ‘জুলাই যোদ্ধা’ স্বাস্থ্য কার্ড, বিব্রত প্রশাসন

ময়মনসিংহ বোর্ডে অনুপস্থিত ৮৮০, বহিস্কার এক শিক্ষার্থী

ময়মনসিংহ বোর্ডে অনুপস্থিত ৮৮০, বহিস্কার এক শিক্ষার্থী

ঝালকাঠিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল পাওয়ায় ৯ শিক্ষককে অব্যাহতি, তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ঝালকাঠিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল পাওয়ায় ৯ শিক্ষককে অব্যাহতি, তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কার

বিএনপির নেতার বাড়ী ভাংচুর মামলায় এসআই সুকান্ত দাস গ্রেপ্তার

বিএনপির নেতার বাড়ী ভাংচুর মামলায় এসআই সুকান্ত দাস গ্রেপ্তার

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুদকের অভিযান

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুদকের অভিযান

বাগেরহাটে চারটি বিদেশী পিস্তলসহ মাইক্রোবাসে থাকা ১১জন আটক

বাগেরহাটে চারটি বিদেশী পিস্তলসহ মাইক্রোবাসে থাকা ১১জন আটক

লাল সবুজের পতাকা উড়লো গ্রেট ওয়ালে: শেরপুরের সেলিমের জয়ে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ

লাল সবুজের পতাকা উড়লো গ্রেট ওয়ালে: শেরপুরের সেলিমের জয়ে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ

“নবারুণ প্রিমিয়ার লিগ” সিজন-৬ এর ট্রফি উন্মোচন

“নবারুণ প্রিমিয়ার লিগ” সিজন-৬ এর ট্রফি উন্মোচন

আপন দুই ভাইসহ সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বৃদ্ধা নিহত

আপন দুই ভাইসহ সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বৃদ্ধা নিহত

ধর্ষণ নয়, ষড়যন্ত্র: ছেলের নির্দোষ প্রমাণে সংবাদ সম্মেলন মায়ের

ধর্ষণ নয়, ষড়যন্ত্র: ছেলের নির্দোষ প্রমাণে সংবাদ সম্মেলন মায়ের

ইউপি সদস্যর বাড়িতে বিয়ের দাবিতে চাচির অনশন

ইউপি সদস্যর বাড়িতে বিয়ের দাবিতে চাচির অনশন

আম পাড়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়ায় প্রাণ গেলো রোজাদার নারীর

আম পাড়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়ায় প্রাণ গেলো রোজাদার নারীর

ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকারিভাবে পৃথক অধিদপ্তর গঠন করা হবে

ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকারিভাবে পৃথক অধিদপ্তর গঠন করা হবে

বিএনপিকে ল্যাং মারতে যেয়ে নিজেদের ঠ্যাং না ভেঙ্গে যায়, প্রিন্স

বিএনপিকে ল্যাং মারতে যেয়ে নিজেদের ঠ্যাং না ভেঙ্গে যায়, প্রিন্স

সাভার উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার্স সোসাইটি (সুজ) এর ২৮ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে

সাভার উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার্স সোসাইটি (সুজ) এর ২৮ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে

দু'শ টাকার জন্য বন্ধুদের হাতে বন্ধু খুন, পুলিশের উপস্থিতিতে আসামীপক্ষের ধান বিক্রি

দু'শ টাকার জন্য বন্ধুদের হাতে বন্ধু খুন, পুলিশের উপস্থিতিতে আসামীপক্ষের ধান বিক্রি

বটি দিয়ে কুপিয়ে দুই সন্তানকে হ*ত্যা করেন মা

বটি দিয়ে কুপিয়ে দুই সন্তানকে হ*ত্যা করেন মা

নোয়াখালীতে কৃষককে মারধর ও জমি দখলের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

নোয়াখালীতে কৃষককে মারধর ও জমি দখলের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

বকশীগঞ্জে মসজিদের জমি দখল ও কবরস্থানের জমি বিক্রির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

বকশীগঞ্জে মসজিদের জমি দখল ও কবরস্থানের জমি বিক্রির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

শিশু বাচ্চা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলো পিতা, শিশু ছিনতাইকারী বলে বেধড়ক পেটালো জনতা

শিশু বাচ্চা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলো পিতা, শিশু ছিনতাইকারী বলে বেধড়ক পেটালো জনতা

বে টার্মিনালে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে : বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান

বে টার্মিনালে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে : বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান

সব খবর