চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড

আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা এখন মাঝারি তাপপ্রবাহের কবলে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ। ফলে তীব্র গরমে জেলার স্বাভাবিক জীবন যাত্রা মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
প্রখর রোদের তাপদাহে তেতে উঠেছে প্রকৃতি। ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা মাঝারি ধরনের এই তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরো জেলা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ০৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫১ শতাংশ। এদিন বেলা ৩টার সময় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ০২ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস। এর আগে চলতি গ্ৰীস্ম মৌসুমে ২৩ ও ২৪ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যথাক্রমে ৩৬ দশমিক শূন্য ৬ এবং ৩৬ দশমিক শূন্য ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়ছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছয়ায় আশ্রয় খুঁজে ফিরছেন পথচারী মানুষ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। অনেক পথচারী ছাতা মাথায় দিয়ে চলাচল করছেন।
বেশ কয়েকজন খেটে খাওয়া দিনমজুর জানান, গত দুই দিন অসহনীয় গরম পড়ছে। আজ রোদের তীব্রতা অনেক। খুব কষ্ট হচ্ছে কাজ করতে। দুপুর হলেই ক্লান্তিতে শরীর চলছে না। বিকেলের আগেই বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে। এমন গরম পড়লে কাজ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় বিচ্ছিন্ন ভাবে দু'একদিন হালকা বৃষ্টির দেখা মিললেও তাতে গরম কমার মত কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আগামী দু'তিনদিন এ জেলার তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। ১৪ মে'র পর বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। তারপর তাপমাত্রা কমতে পারে।