দুলাভাইয়ের ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ, জামিন পেলেন শ্যালক

ফ্ল্যাট কিনে দেওয়ার নামে দুলাভাইয়ের ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মোহাম্মদ থানায় করা মামলায় জামিন পেয়েছেন শ্যালক শাহ নেওয়াজ খান।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমদ এ জামিন মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মহসীন মিয়া বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন। এ মামলায় আদালত আসামি শাহ নেওয়াজের জামিন দিয়েছেন। তবে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ জামিন দিতে পারেন না। এই আসামিকে উচ্চ আদালত আপসের শর্তে দুই মাসের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। তবে তিনি আপস না করে আরেকটা বেঞ্চে গিয়ে জামিন বাড়ানোর চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের পূর্বের বেঞ্চ তার জামিন বাতিল করে তাকে তিরস্কার করেন। একইসঙ্গে ১৫ দিনের মধ্যে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। সেক্ষেত্রে আসামি এই আদালত থেকে জামিন পেতে পারেন না।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালের ২১ অক্টোবর মো. কাজী আসিফ ইকবালের সঙ্গে নুসরাত জাহান খানমের বিয়ে হয়। তারা সাইপ্রাসে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করতে থাকেন। ২০১১ সালে তার স্ত্রী নুসরাত উচ্চশিক্ষার জন্য সাইপ্রাস থেকে নরওয়ে যান। ২০১৪ সালে তাদের প্রথম সন্তান হয়। পরবর্তীতে শাশুড়ি আনজুলা সালাউদ্দিন তার জামাই আসিফকে একটা ফ্ল্যাট ক্রয় করার কথা বলেন। পরে তিনি ঢাকায় ফ্ল্যাট ক্রয় করতে রাজি হন। ফ্ল্যাট ক্রয় বাবদ ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আসিফ এবং তার মা নিলুফা ফ্ল্যাট ক্রয় ও রেজিস্ট্রেশন বাবদ মোট ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা দেন।তবে আসিফ ও তার স্ত্রী নুসরাতের নামে কোনো ফ্ল্যাট ক্রয় করা হয়নি। ২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি তার স্ত্রী নুসরাত তার স্বামী আসিফের বিরুদ্ধে ফ্রান্স পুলিশের কাছে অভিযোগ দেন। তিনি বাসস্থান ছেড়ে দুই সন্তান নিয়ে প্রটেকশন সেন্টারে চলে যান। পরবর্তীতে তারা আলাদাভাবে বসবাস করছেন।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ২৩ মে বিকালে মামলার বাদী নিলুফা ফ্ল্যাট বাবদ পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলে আসামিরা তার প্রতি ক্ষিপ্ত হন। তারা টাকা দিতে অস্বীকার করে এবং বাদীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ৩ জুন নিলুফার ইমাম বাদী হয়ে আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত জবানবন্দি গ্রহণ করে মোহাম্মদপুর থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন। এ মামলায় আনজুলা সালাউদ্দিন, তার মেয়ে নুসরাত জাহান খানম, ছেলে মো. শাহরিয়ার খান ও মো. শাহ নেওয়াজকে আসামি করা হয়।