টাকা সহ মসজিদের দান বাক্স চুরি!

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার দাশমাড়িয়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের দান বাক্স রাতের আঁধারে টাকা সহ পুরো দান বক্সটিই চুরি হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা আর নিন্দার ঝড় বইছে ওই এলাকায়।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দিবাগত রাতের যেকোনো সময় ওই চুরির ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় যে, উপজেলার নওপাড়া এলাকার পায়রাপাড়া গ্রামের পুঠিয়া তাহেরপুর সড়কের পাশে দাশমাড়িয়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের দান বাক্সটি চপ পলাশী এলাকা হতে কুড়িয়ে এনে খোলা অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে মসজিদের বারান্দায়। মসজিদের দান বাক্স টি এভাবে চুরি হওয়ার ফলে এলাকাবাসী ব্যাপক ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছে। পাশাপাশি আলোচনা আর চলছে নিন্দা প্রকাশের ঝড়। ওই ঘটনায় এলাকাবাসী খুব দ্রুত চোরকে ধরে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। প্রতিবছর ওই মসজিদের দান বাক্সটি দুবার খোলা হয়। প্রতিবার টাকা বের করার সময় দান বাক্সে ১২ থেকে ১৩ হাজার করে টাকা পাওয়া যায়। আগামী ২৮ তারিখ দানবাক্স টি খোলার দিন ছিল অথচ তার আগে হারিয়ে যায় দান বাক্সটি।
মসজিদের দান বাক্স চুরি হওয়ার বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, এমন নিন্দনীয় কাজ যারা করেছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। সকালে জানতে পারি মসজিদের দান ব্যবসাটি চুরি হয়ে গেছে। বিষয়টি শুনে খুব খারাপ লাগছে। এ বিষয়ে স্থানীয় মুসল্লী আব্দুস সাত্তার তিনি বলেন, খুব দ্রুত চোরদের ধরে আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচার করা উচিত।
ওই মসজিদের সেক্রেটারি আশিকুল ইসলাম তিনি বলেন, আমরা ভোরে নামাজ পড়ে বাসায় চলে গিয়েছি আবার সকালে শুনতে পায় দান বাক্সটি চুরি হয়ে গেছে। এমন নিন্দনীয় কাজ যে বা যারা করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচার করা হোক। পাশাপাশি মসজিদের টাকা উদ্ধার করে মসজিদে জমা দেওয়া হোক। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে আজকে আমরা মুসল্লীরা অভিযোগ দায়ের করতে যাবো।
দাশমাড়িয়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের প্রেস ইমাম সাজেদুল ইসলাম তিনি বলেন, দান বাক্সটি যতবার খুলেছি ১২ থেকে ১৩ হাজার করে টাকা পেয়েছি আগামী ২৮ তারিখ দান বাক্সটি খোলার দিন ছিল এর আগে বাক্সটি চুরি চুরি হয়ে গেলো। মসজিদের এখন অনেক কাজ বাকি আছে এতে করে আমরা অনেকটা পিছিয়ে গেলাম। আমি চাই এসব মোনাফেক ব্যক্তিদের ধরে কঠিন বিচারের মুখোমুখি করা হোক আর মসজিদের টাকাগুলো উদ্ধার করে মসজিদে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
অন্যদিকে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কবির হোসেন জানান, এখনো মামলা বা অভিযোগ হয়নি ওই বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।