কর্মীদের মারপিটের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি জয়পুরহাট জেলার আমির ও জয়পুরহাট সদর-পাঁচবিবি আসনের জামায়াতের মনোনিত এমপি প্রার্থী ডাঃ মোঃ ফজলুর রহমান সাঈদের ঈদের শুভেচ্ছা পোস্টার দেওয়ালে সাটানোকে কেন্দ্রে করে বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপি নেতা এম এ আব্দুল গফুর মন্ডলের কর্মীদের হামলায় জামায়াত ও শিবিরের ছয়জন কর্মী গুরত্বর আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা ও জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ। তবে জামায়াতের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন বিএনপি নেতা এম এ গফুর মন্ডল। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে পাঁচবিবি উপজেলার কুয়াতপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় জামায়াত ও বিএনপি নেতা গফুর মন্ডলের নেতৃত্বে পৃথক দুটি পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করেছেন।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেল তিনটায় পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে শালাইপুর বাজারে বিএনপি নেতা এম এ গফুর মন্ডল ও তার সহযোগীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা জামায়াতের আমির ডাঃ ফজলুর রহমান সাঈদ বলেন, আমরা আইন হাতে নেইনি বলে ভাববেন না আমরা দূর্বল, আপনে যেই সন্তানের গায়ে হাত তুলেছেন সেতো আপনারই ভাই-ভাতিজা, বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের সরকার সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারনে আওয়ামীলীগ সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, বর্তমানে নতুন করে আবারও যদি কেউ সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে জনগন তাদেরও ছেড়ে দিবেনা, সাবধান হয়ে যান, জনগনের গায়ে হাত তুলবেন জনগণ আপনাকে ছেড়ে দিবেনা।
এছাড়াও জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটোরি মোঃ গোলাম কিবরিয়া, পাঁচবিবি উপজেলা জামায়াতের আমির ডাঃ মোঃ সুজাউল ইসলাম ও সেক্রেটোরি মুক্তার হোসেনসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এদিকে জামায়াত নেতাদের বক্তব্যের কড়া জবাব দিতে পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে পাল্টা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ গফুর মন্ডল। শনিবার (২৯ মার্চ) বিকেল চারটায় উপজেলার শালাইপুর বাজারে এই প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
জামায়াত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি নেতা গফুর মন্ডল বলেন, বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমালে জেলার সব থেকে বেশি মামলা, হামলা, জেল জুলুমের শিকার হয়েছি। আপনারা আওয়ামীলীগের নেতাদের সঙ্গে আতাত করে চলেছেন জেলে যেতে হয়নি। আপনারা আমাকে জরিয়ে মিথ্যা প্রোপাকাণ্ডা ছড়াচ্ছেন। আজ থেকে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর গায়ে হাত দিলে তার জবাব সঙ্গে সঙ্গে দিব, সাবধান হয়ে যান।
এসময় উপস্থিত আটাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ নওশাদ আলী, মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহিদুল আলম, আওলাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।