চট্টগ্রামে কুকি-চিনের আরও ১৫ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ

চট্টগ্রামে আরও ১৫ হাজার সন্দেহজনক পোশাক (ইউনিফর্ম) জব্দ করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, এসব ইউনিফর্ম পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ)।
মঙ্গলবার (২৭ মে) রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার একটি কারখানা থেকে এসব পোশাক জব্দ করে বায়েজিদ বোস্তামী থানার পুলিশ।
ইউনিফর্ম উদ্ধারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে পুলিশ কর্মকর্তাদের কেউ রাজি হননি। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় মন্তব্যে অনীহা তাঁদের। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইউনিফর্ম উদ্ধারের ঘটনায় পাহাড়তলী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। অভিযানে আটক কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমানকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত দুই সপ্তাহে চট্টগ্রামে এ ধরনের সন্দেহজনক পোশাক জব্দ করার ঘটনা ঘটেছে এ নিয়ে তিনবার। সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর একটি গুদাম থেকে ১১ হাজার ৭৮৫টি ইউনিফর্ম জব্দ করা হয়। পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করে, এসব ইউনিফর্ম কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের।
এর আগে গত ১৭ মে রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার নয়ারহাট এলাকার একটি কারখানা থেকে ২০ হাজার ৩শ টি সন্দেহজনক পোশাক জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় করা মামলার এজাহারে পুলিশ উল্লেখ করে, ইউনিফর্মগুলো কেএনএফের। দুই কোটি টাকার চুক্তিতে ইউনিফর্মগুলো প্রস্তুতের ফরমাশ নেওয়া হয়। এ ঘটনায় পোশাক কারখানাটির মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- সাহেদুল ইসলাম, গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার।
পুলিশ জানিয়েছে, সাহেদুল ইসলাম কারখানার মালিক। অন্য দুজন পোশাকগুলো তৈরির ফরমাশ এনেছিলেন। নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে ১৮ মে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেন। মামলায় গ্রেপ্তার তিনজন ছাড়াও রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের মংহলাসিন মারমা (৩৭) নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।