অনুমোদনের ৫ দিনের মাথায় বিএনপির তিন কমিটি স্থগিত

বিএনপির চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সদ্যঘোষিত তিন কমিটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। রবিবার (৩০ মার্চ) প্রথম প্রহরে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের ফেসবুক পেজে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, গত ২৪ মার্চ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মিরসরাই উপজেলা, মিরসরাই পৌরসভা এবং বারইয়ারহাট পৌরসভার আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
এর মধ্যে উপজেলা কমিটিতে আব্দুল আউয়াল চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং আজিজুর রহমান চৌধুরীকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। বারইয়ারহাট পৌর কমিটিতে মঈন উদ্দিন লিটনকে আহ্বায়ক ও জসিম উদ্দিন কমিশনারকে সদস্য সচিব এবং মিরসরাই পৌর কমিটিতে জামশেদ আলম কমিশনারকে আহ্বায়ক ও কামরুল হাসান লিটনকে সদস্য সচিব করা হয়।
কিন্তু অনুমোদিত কমিটিগুলো একতরফা হয়েছে অভিযোগ তুলে ওই তিন ইউনিটের পদবঞ্চিতরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ঝাড়ু মিছিল করেন।
সবশেষ গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে দুপক্ষের কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতার শঙ্কায় উপজেলা চত্ত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। তবে একটি পক্ষ তা ভঙ্গ করে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। একইদিন বারইয়ারহাটে দুগ্রুপের সংঘর্ষে জাবেদ নামে এক পথচারি নিহত হয়। আহত হন আরো ৩০ নেতাকর্মী।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার জানান, মিরসরাইয়ের সাধারণ জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে পারে এবং আমার প্রিয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হতে পারে। সাম্প্রতিক উদ্ভূদ পরিস্থিতিতে মিরসরাইয়ের জনগণের পাশে থাকার লক্ষ্যে অনুমোদিত ৩টি কমিটির কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির দুটি পক্ষ রয়েছে। যার একটিতে রয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিনের অনুসারীরা। অন্যপক্ষে উত্তর জেলার আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল আমিনের অনুসারীরা রয়েছেন।