চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দির মৃত্যু, যা বলছে পরিবার

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ফারজান হোসেন সজীব (৩৬) নামে এক বন্দির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সজীব চট্টগ্রাম নগরের বকশিরহাট এলাকার রামজয় মহাজন লেইনের বাসিন্দা মো. রফিকের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়।

নিহতের চাচা আবু তালেব তিনি বলেন, সজীবের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের কালো দাগ রয়েছে। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কারাগার থেকে ফোন করে জানানো হয়, সজীব স্ট্রোক করেছে। কিছুক্ষণ পর আমাদের কাছে চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। তখন সজীবের সঙ্গে কথা বলানোর অনুরোধ করলেও তা সম্ভব হয়নি। প্রায় ৩০ মিনিট পরে জানানো হয়, সজীব মারা গেছে।

তিনি আরও বলেন, সজীব কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। সে বকশিরহাট এলাকায় আড্ডা দেওয়ার সময় টহল পুলিশ তাকে আটক করে। পরে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, শুক্রবার সকালে সজীব কারাগারের যমুনা ভবনের সাত নম্বর ওয়ার্ডে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। কারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, সজীব হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

তিনি জানান, গত ২৭ মার্চ থেকে সজীব যমুনা ভবনের সাত নম্বর ওয়ার্ডে ছিলেন। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সেলে তদন্ত করা হয়েছে। তবে সকালে কোনো মারধরের প্রমাণ মেলেনি। অসুস্থ অবস্থায় সজীব হেঁটে কারা হাসপাতালে যান এবং পরে গাড়ি থেকে নেমে চমেক হাসপাতালেও হেঁটে ঢুকেছেন।