ছাত্রী-শিক্ষক কাণ্ডে অভিযুক্ত ছাত্রী ও শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারসহ ৫ দাবি

ছাত্রী-শিক্ষক কাণ্ডে অভিযুক্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেদায়েত উল্লাহ (পাপুল) ও ছাত্রী মারিয়া খাতুনের স্থায়ী বহিষ্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে একই বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী। বুধবার (২১ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্বরে এই সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা।
তাদের দাবিগুলো হলো- হেদায়েত উল্লাহ পাপুল এবং ছাত্রী মারিয়া খাতুনের স্থায়ী বহিষ্কার; উক্ত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চাঁদা গ্রহনকারী চার শিক্ষার্থীর স্থায়ী বহিষ্কার; হেদায়েত উল্লাহ পাপুলের ফলাফল জালিয়াতির সুষ্ঠ তদন্ত এবং যথাযথ বিচার; হেদায়েত উল্লাহ পাপুল কর্তৃক পাশের বিনিময়ে শিক্ষার্থীকে একজন শিক্ষককে হত্যার প্ররোচনা প্রদানের সুষ্ঠ তদন্ত এবং বিচার এবং হেদায়েত উল্লাহ পাপুলের পর্দা করা ছাত্রীদের উপর একাডেমিক ও মানসিক নির্যাতনের সুষ্ঠ তদন্ত এবং বিচার।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১১ মে আমাদের বিভাগের শিক্ষক জনাব হেদায়েত উল্লাহ পাপুল এবং আমাদেরই বিভাগের শিক্ষার্থী মারিয়া খাতুন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষে (হেদায়েত উল্লাহ পাপুলের চেম্বার) আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে। যার ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। উক্ত ঘটনার ভিডিও ধারণকারীরা হেদায়েত উল্লাহ পাপুলের নিকট চাঁদা দাবী করলে হেদায়েত উল্লাহ পাপুল তখন চাঁদা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগ হতে উক্ত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীকে তদন্ত চলাকালীন সময়ের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
তারা আরও বলেন, সহযোগী অধ্যাপক হেদায়েত উল্লাহ পাপুলের বিরুদ্ধে পূর্বেই ছাত্রীদের রুমে ডেকে নিয়ে গিয়ে মানসিক হয়রানি, ইচ্ছাকৃত ফেল করিয়ে ছাত্রীদের চেম্বারে ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং পর্দাশীল ছাত্রীদের বিভিন্ন রকমের মানসিক হেনস্তার অভিযোগ ও রয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটি ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভাগে অভিযোগ জানানোর পরও আমরা আশানুরুপ কোনো ফলাফল পাই নি। যার ফলস্বরুপ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের মানসিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে। এতো অপরাধের পরও কোনো প্রকার শাস্তি না হওয়ার তার অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এর আগে, একই দিন একই দাবিতে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর ও বিভাগের সভাপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।