অবশেষে স্থায়ী মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে বহু কাঙ্ক্ষিত স্থায়ী মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন । প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর পার হতে চললেও বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন স্থায়ী মন্দির ছিল না।
২০১৯ সালে অস্থায়ীভাবে ‘গাহি সাম্যের গান’ মুক্তমঞ্চের পাশে একটি ছোট টিনশেড মন্দির তৈরি করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন । দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নিরাপত্তার অভাবে বর্তমানে সেটির বেহাল দশা । নিচু জমিতে নির্মাণ করায় বারবার জলাবদ্ধতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ভোগান্তিতে পড়েন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। তাই বিগত কয়েক বছর ধরে স্থায়ী মন্দিরের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল শিক্ষার্থীরা।
এ প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশনা একটি সুসংগঠিত স্থায়ী মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং দফতর সুত্রে জানা যায়, নির্মাণাধীন নজরুল ইনস্টিটিউট ভবনের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে ৩২ ফিট দৈর্ঘ্য ও ৫০ ফিট প্রস্থ বিশিষ্ট নতুন মন্দির নির্মিত হবে।
জানা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী এই স্থানটি মন্দির নির্মাণের জন্যই পূর্ব নির্ধারিত ছিল।
এইদিকে এই সিদ্ধান্তকে ধর্মীয় সহনশীলতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দির কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাহুল রাহা বলেন , “দীর্ঘদিন ধরে আমাদের চাওয়া ছিল একটি স্থায়ী মন্দির নির্মাণ হোক। আমরা জানি একটা কিছু করতে গেলে একটা লং প্রসিডিওরের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তবে স্থায়ী জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে এটি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। আমরা আশাবাদী, কাজটি দ্রুত সম্পন্ন হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দফতরের পরিচালক প্রকৌশলী মো: হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাজেট আসা একটা প্রসিডিওরের বিষয়। মন্দিরের জন্য বাজেটও এখনো আসেনি। তবে সেক্ষেত্রে স্থায়ী জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে টাকা দিয়ে আমরা মন্দিরটা করে দেবো। ইতোমধ্যে ইন্সটিটিউট বিল্ডিংয়ের কনস্ট্রাকশন সাইটের সাথে কথাও হয়েছে। তারা এসে দেখবে এবং শিগগিরই কাজ শুরু করবে।’
উল্লেখ্য গত ২২ এপ্রিল ঝড়ে ভেঙে পড়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী মন্দির।