তুচ্ছ ঘটনায় শিশু শিক্ষার্থীর নাক ফাটালেন সহকারি শিক্ষক

পাবনার চাটমোহরে তুচ্ছ ঘটনায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সোয়াদ হোসেনের নাক ফাটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বুধবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কানাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান ওরফে জিয়া হাফিজ ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয় থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। আহত সোয়াদ কানাইয়েরচর গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্লাস চলাকালীন সময়ে শিক্ষক হাফিজুর রহমানের অনুমতি নিয়ে বাইরে যায় সোয়াদ। কিন্তু একটু দেরিতে শ্রেণিকক্ষে ফেরায় শিক্ষক তার গালে চড় মারেন। সেই চড় নাকে লাগলে রক্তক্ষরণ হয় এবং শিশুটি কান্নায় ভেঙে পড়ে। পরিবারের লোকজন ছুটে গিয়ে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে এবং পরে হাসপাতালে ভর্তি করান।
সোয়াদের বাবা মুকুল হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “শিক্ষক যদি পড়ালেখার জন্য শাসন করতো, তবু মেনে নিতাম। কিন্তু একটা ছোট শিশুকে এমনভাবে মারলো যে তার নাক ফেটে রক্ত বের হলো—আমি বাবা হয়ে এটা মেনে নিতে পারি না। আমি বিচার চাই।” বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন জানান, “ঘটনার সময় আমি অফিসে ছিলাম। পরে শুনে ক্লাসে গিয়ে দেখি সোয়াদ চলে গেছে। আমি নিজে গিয়ে শিশুটিকে দেখে এসেছি এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষক মৌখিক ছুটি নিয়ে চলে গেছেন।”
অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, “বাচ্চাটি বারবার ক্লাস থেকে বাইরে যাচ্ছিল। আমি ডাকছিলাম, ঢোকার সময় এক চড় মারি, কিন্তু সেটা নাকে লেগে রক্ত বের হয়। এটা অনিচ্ছাকৃত, আমি দুঃখিত।” চাটমোহর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।