সিলেটের শামসুল ইসলাম হত্যা: ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম চৌধুরী হত্যা মামলায় তাঁর ছেলে মাসুদ আহমদ চৌধুরী মুন্নাসহ তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে সিলেট বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. শাহাদাত হোসেন প্রামাণিক এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুই আসামি হলেন—মো. জাহের আলী ও মো. আনসার আহমেদ।
একই মামলায় মাইক্রোবাসচালক মো. বোরহান উদ্দিনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর অপর আসামি মো. ইসমাইল হোসেন রানুকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দিয়েছেন আদালত।
পৈতৃক সম্পত্তি না পাওয়ার ক্ষোভে বাবাকে হত্যা
মামলার তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে নামাজরত অবস্থায় পেছন থেকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে শামসুল ইসলাম চৌধুরীকে হত্যা করে তাঁর ছেলে মুন্না। এরপর চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে লাশ গুম করতে সহযোগিতা করে জাহের, আনসার ও বোরহান। পরে তাঁকে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এক মাসের মধ্যে ওই নদী থেকেই তাঁর মরদেহের অংশবিশেষ ও পোশাক উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় বড় ছেলে মাহমুদ আহমদ চৌধুরী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হলো।
সিলেট বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আনছারুজ্জামান জানান, রায়ের সময় কোনো আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। জামিন নিয়ে তারা পলাতক রয়েছেন।
আলোচিত এই মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আইনজীবী মহল ও নিহতের পরিবার।