তৃতীয় আম্পায়ারের তিন সিদ্ধান্তে বিতর্ক! ব্রিজটাউন টেস্টে উত্তাল সমালোচনার ঝড়

বৃষ্টিতে থমকে থাকা ম্যাচে উত্তাপ ছড়াচ্ছে এবার আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম অস্ট্রেলিয়ার ব্রিজটাউন টেস্টে তৃতীয় আম্পায়ার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টের কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। প্রথম দুই দিনেই অন্তত তিনটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ঘিরে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

বিতর্ক ১: চেজ আউট, নাকি নয়?

দ্বিতীয় দিনে রোস্টন চেজের এক সম্ভাব্য আউট নিয়ে মাঠ আম্পায়ার আঙুল তুললেও সিদ্ধান্ত পাঠানো হয় তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। সেখানে আদ্রিয়ান হোল্ডস্ট জানান, ব্যাটে বল লাগেনি, ফলে এটি নট আউট। তবে রিপ্লেতে দেখা যায় বল ব্যাটে লেগে গিয়েছিল—এমনটাই দাবি বিশ্লেষকদের।

এই সিদ্ধান্ত দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ। সরাসরি বলেন:

"আমি এই সিদ্ধান্ত মানি না। প্রযুক্তির ওপরও আস্থা হারাতে বসেছি। এটা আউট ছিল, এবং এই সিদ্ধান্ত চেজের বিপক্ষে গেছে।"

বিতর্ক ২: ট্রাভিস হেডের ব্যাট ছুঁয়ে বল?

প্রথম দিন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার ট্রাভিস হেড একটি বল খোঁচা দেন বলে ধারণা ছিল। বল সরাসরি চলে যায় উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। কিন্তু থার্ড আম্পায়ার ভিডিও বিশ্লেষণে এটিকে নট আউট ঘোষণা করেন। রিপ্লেতে বল ব্যাট ছুঁয়েছে কি না—তা স্পষ্ট হয়নি, কিন্তু কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, "সন্দেহজনক হলে ব্যাটারের বিপক্ষেই যাওয়া উচিত ছিল সিদ্ধান্ত।"

 বিতর্ক ৩: আবারও চেজ, আবারও বিভ্রান্তি

পরদিন চেজ এলবিডব্লিউ ফাঁদে পড়েন প্যাট কামিন্সের বলে। মাঠ আম্পায়ার আউট দেন, চেজ রিভিউ নেন। রিপ্লেতে দেখা যায় বল ব্যাটের একদম পাশ দিয়ে গেছে, কিন্তু স্নিকোতে কোনও স্পাইক নেই।

তবে বলের গতি এবং বাঁক দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল যে বল ব্যাটে লেগেছিল। তবু তৃতীয় আম্পায়ার আদ্রিয়ান হোল্ডস্ট সিদ্ধান্ত দেন, এলবিডব্লিউ বহাল।

 সমালোচনার তীর আদ্রিয়ানের দিকে

এই তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন আদ্রিয়ান হোল্ডস্টের আম্পায়ারিং দক্ষতা নিয়ে। কেউ কেউ বলছেন, প্রযুক্তির ব্যবহার থাকলেও ব্যাখ্যার অভাবে ন্যায়বিচার ব্যাহত হচ্ছে।

ইয়ান বিশপ: "আমি সিদ্ধান্তটা মানি না। এটা একেবারেই ভুল।"

ক্রিকেট বিশ্লেষকরা: "বারবার একই আম্পায়ার, একই বিতর্ক—প্রশ্ন তো উঠবেই।"

দর্শকরা: “তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত কি সবসময়ই প্রযুক্তির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে?”