বিদেশি অ্যাপের বিকল্প আনছে রাশিয়া: সরকার-সমর্থিত মেসেজিং অ্যাপ তৈরির আইনে পুতিনের সই

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক নতুন আইনে স্বাক্ষর করেছেন, যার মাধ্যমে একটি রাষ্ট্র-সমর্থিত মেসেজিং অ্যাপ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রুশ গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ করেছে সামা টিভি।
নতুন অ্যাপটি সরকারি সেবার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামের মতো বিদেশি প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরতা কমানোই এর মূল লক্ষ্য।
রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই ‘ডিজিটাল সার্বভৌমত্ব’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবহারে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর পশ্চিমা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর রাশিয়া ত্যাগ করায় বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রুশ আইনপ্রণেতাদের দাবি, নতুন অ্যাপে এমন ফিচার থাকবে যা টেলিগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে নেই। তবে সমালোচকরা বলছেন, সরকার-নিয়ন্ত্রিত অ্যাপ ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা ও স্বাধীনতার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে।
মিখাইল ক্লিমারেভ, রাশিয়ার ইন্টারনেট প্রোটেকশন সোসাইটির পরিচালক, সতর্ক করে বলেন—
“রাশিয়া হয়তো হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের ইন্টারনেট গতি কমিয়ে দেবে, যাতে মানুষ বাধ্য হয়ে নতুন রাষ্ট্রীয় অ্যাপ ব্যবহার করে।”
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে হোয়াটসঅ্যাপকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাপ’ ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হাউসের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগ বলেছে, অ্যাপটির ডেটা এনক্রিপশন ও নিরাপত্তা নিয়ে ঘাটতি রয়েছে।
প্রতিবাদে মেটা জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ অন্যান্য অনুমোদিত অ্যাপগুলোর তুলনায় উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোয়াটসঅ্যাপ অভিযোগ করে যে, ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার কোম্পানি প্যারাগন সলিউশনস এর ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি চালিয়েছে।
রাশিয়ার নতুন মেসেজিং অ্যাপটির সুনির্দিষ্ট উদ্বোধন তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি, তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা একে নজরদারিমূলক ব্যবস্থার আরেক ধাপ হিসেবে দেখছেন।
