নারীপ্রধান ‘এশা মার্ডার’ ঈদে চমক, বাঁধনের ভাষ্যে বাস্তবতা ও প্রত্যাশা

এই ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সানী সানোয়ার পরিচালিত ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ নিয়ে প্রথমে খুব বেশি আলোচনা না হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিনেমাটি দর্শক টানছে। ব্যতিক্রমী এই থ্রিলারে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
নারীপ্রধান চলচ্চিত্র, সমাজের মনোভাব এবং বাংলা সিনেমার ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন তিনি।
নারীপ্রধান সিনেমা মানেই ‘বিপদ’ ভাবা হয়
বাঁধন বলেন,
“আমাদের দেশে নারীপ্রধান সিনেমা হয়ই না। আর ঈদে হলে তো সেটা সাহস করাও যায় না। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি এখনো পুরুষপ্রধান। এমন এক সমাজে, যেখানে নারীদের ছোট করে দেখানো সিনেমা বেশি গ্রহণযোগ্যতা পায়, সেখানে ‘এশা মার্ডার’-এর মতো সিনেমা করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।”
তিনি আরও বলেন,
“এখানে কোনো আইটেম গান নেই, কোনো প্রচলিত অ্যাকশন দৃশ্য নেই, নেই তথাকথিত নায়ক। যা আছে, তা বাস্তবসম্মত গল্প। তাই খুব বেশি প্রত্যাশা করিনি। তবে দর্শকের ভালোবাসা যেটুকু পেয়েছি, সেটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।”
দর্শক এখন ভিন্নধর্মী কনটেন্টের জন্য প্রস্তুত
ঈদে বিভিন্ন সিনেমার হল পরিদর্শন করে বাঁধন দেখেছেন,
“বাংলাদেশের দর্শক এখন সব ধরনের সিনেমার জন্য তৈরি। ‘তাণ্ডব’, ‘উৎসব’, ‘ইনসাফ’—প্রত্যেকটা সিনেমার ধরন আলাদা। দর্শকের এই গ্রহণক্ষমতা ইন্ডাস্ট্রির জন্য আশাব্যঞ্জক। এখন সময় পরিচালক-প্রযোজকদের সাহসিকতা দেখানোর।”
বাণিজ্যের বাইরেও দায়বদ্ধতা প্রয়োজন
তিনি বলেন,
“শুধু বাণিজ্য নয়, সমাজকে কিছু দেওয়ার মতো সিনেমা বানানো দরকার। এই ইন্ডাস্ট্রিকে আমরা যদি বদলাতে চাই, তাহলে গল্পের ভেতরেই পরিবর্তনের বীজ রাখতে হবে।”
সারসংক্ষেপে:
‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ একটি ব্যতিক্রমী নারীপ্রধান থ্রিলার
বাঁধনের অভিনয় ও বাস্তবধর্মী গল্প দর্শকের মন ছুঁয়েছে
সমাজ পরিবর্তনে সিনেমার ভূমিকা নিয়েও বক্তব্য দিয়েছেন বাঁধন
