হরিণাকুন্ডু রণক্ষেত্র! গ্রামবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত, মাঠে সেনাবাহিনী

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত শতাধীক লোক আহত হয়েছে। রোববার বিকেলে উপজেলার চরপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকালে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চরপাড়া বাজারে মাছ কেনাবেচা নিয়ে চরপাড়া ও শৈলকুপা উপজেলার মাইলমাড়ী গ্রামের লোকজনের মাঝে বাক-বিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। রোববার সকালে পার্শবর্তী পোড়াহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাইলমাড়ী গ্রামের দুই ছাত্রকে মারধর করে চরপাড়া গ্রামের ৩ বহিরাগত ছাত্র। এরই জের ধরে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আর ৩ ঘন্টার বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত শতাধীক ব্যক্তি আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরবর্তীতে সংর্ঘষ নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের উদ্ধার করে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হরিণাকুন্ডু চরপাড়া বাজারের ব্যবসায়িরা বলেন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শৈলকুপা মাইলমাড়ী গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করতে থাকে। সেসময় বাঁধা দিতে গেলে তাদের সাথে সংর্ষেষ সৃষ্টি হয়। বাজারে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মালামাল মাইলমাড়ী গ্রামের লোকজন হরিণাকুন্ডু এলাকায় প্রবেশ করে লুট করতে নিয়ে গেছে। এসময় প্রায় ২০ টি দোকান ভাংচুর করে।
পোড়াহাটি ম্যাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ জানান, পোড়াহাটি মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের ৯ ম শ্রেণীর রিফাত নামের এক ছাত্রের সাথে স্কুলের অন্যান্য ছেলেদের মারামারি হয়। আর থানায় অভিযোগের পরিপেক্ষিতে এই মারামারির সুত্র পাত ঘটে।
রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়াম্যার বশির উদ্দিন জানান, শৈলকুপা মাইলমাড়ী মির্জাপুর ইউনিয়নের লোকজন মাছ কেনা বেচাকে কেন্দ্র করে বাজারের ব্যবাসায়িরদের সাথে গোলোযোগ সৃষ্টি করে পরবর্তীতে সংঙ্গবদ্ধ হয়ে চরপাড়া বাজার দখল ও লুটপাট শুরু করে। আর সেসময় বাজার ব্যবসায়িরা বাঁধা দিতে গেলে সংর্ঘষের সৃষ্টি বাধে এতে অন্তত শতাধীক লোক আহত হয়েছে।
হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি এম তারিকুজ্জামান জানান, ঘটনার বিষয় শুনার পরপর ঘটনাস্থানে পৌছে পরিস্থীতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সেনাবাহির সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
হরিণাকুন্ডু থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ রউফ জানান, ঘটনার বিষয় শুনার পর চরপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারায় পরবর্তীতে হরিনাকুন্ডু থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সহ আমি নিজেই ঘটনাস্থানে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীনির সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।