বার্ন ইনস্টিটিউটে নিরাপত্তা জোরদার, কৌতূহলী জনতার ভিড় নেই

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের ভর্তি করা হয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। ঘটনার পরদিন সেখানে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেলেও, আজ বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালটির চারপাশে আগের মতো কৌতূহলী মানুষের ভিড় নেই। প্রবেশপথে বসানো হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়। আনসার, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন হাসপাতালের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন প্রবেশপথে। সাংবাদিকদেরও হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ বা বাইরে অবস্থান করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “যদি কোনো সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, তখন সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। অপ্রয়োজনীয় ভিড় ও কোলাহল এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তাই আজ সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। শুধু হাসপাতালের কর্মী এবং কর্তব্যরত কর্মকর্তারা পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন।”
গতকাল মঙ্গলবার বার্ন ইনস্টিটিউটের সামনে ভিন্ন চিত্র দেখা গিয়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছিলেন রক্তদাতা ও স্বেচ্ছাসেবকরা। সবচেয়ে আলোচিত হয় হিজড়া সম্প্রদায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণ—তাদের রক্তদান ও মানবিক উপস্থিতি মানুষের মধ্যে এক অনন্য বার্তা পৌঁছে দেয়।
তবে আজ (বুধবার) সেই স্বতঃস্ফূর্ততা ও সহমর্মিতার প্রকাশ সরাসরি দেখা না গেলেও, হাসপাতাল চত্বরের ভেতরে কাজ চলছে নিরবচ্ছিন্নভাবে।
অন্যদিকে, হাসপাতাল চত্বরের আশপাশে কিছু রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে স্থাপিত ‘হেল্প ডেস্ক’ ব্যানার দেখা গেলেও সেখানে কাউকে উপস্থিত পাওয়া যায়নি।