দ্বিকক্ষ সংসদের প্রস্তাব: উচ্চকক্ষে ৭৬ আসন, ভোটে নির্বাচন চায় ঐকমত্য কমিশন

জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়ে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তাদের মতে, উচ্চকক্ষের আসন সংখ্যা হওয়া উচিত ৭৬টি এবং প্রতিটি আসনে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন জনগণের সরাসরি ভোটে।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপের ১৩তম দিনে এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এতে অংশ নেন বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এলডিপি, এবি পার্টি, সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের ৬৪টি জেলা ও ১২টি সিটি করপোরেশনকে পৃথক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকা হিসেবে ধরে ৭৬টি আসন নির্ধারণ করা হবে। প্রতিটি এলাকা থেকে একজন করে প্রতিনিধি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন। জাতীয় সংসদ (নিম্নকক্ষ) ও উচ্চকক্ষের নির্বাচন একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে সংবিধান সংস্কার কমিশন উচ্চকক্ষের নাম প্রস্তাব করেছিল ‘সিনেট’। তারা বলেছিল, উচ্চকক্ষ আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে পর্যালোচনামূলক ভূমিকা পালন করবে এবং নির্বাহী ক্ষমতার ওপর একটি ভারসাম্যপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাব নিয়ে এখন রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে কেউ কেউ ইতিবাচক মত দিলেও, পুরো প্রস্তাব বাস্তবায়নে সাংবিধানিক সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছেন বিশেষজ্ঞরা।