ফরিদপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের স্থানে নির্মিত হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’

ফরিদপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের স্থানেই নির্মিত হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’। গত বছর ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার আক্রমণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এই কার্যালয়ের স্থলেই এবার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ৯ জুলাই থেকে এ নির্মাণকাজ শুরু করেছে গণপূর্ত বিভাগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি পরিষ্কারে ব্যস্ত শ্রমিকরা। কাজের তত্ত্বাবধানে আছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সোহান আল মামুন। তিনি জানান, জুলাই মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান বলেন, “সারা দেশের মতো ফরিদপুরেও একই বাজেটে নির্মাণ হচ্ছে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ। ৫ আগস্টের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।”
জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটির সিদ্ধান্তেই এই স্থানটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য উপযুক্ত হিসেবে চূড়ান্ত হয়। ফরিদপুর সদর ইউএনও ইসরাত জাহান বলেন, “স্থান নির্বাচনে জেলা প্রশাসন একটি কমিটি করেছিল, তারা এই স্থানকে উপযুক্ত মনে করেছে।”
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেন জানান, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন শীর্ষ কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত কমিটি সর্বসম্মতভাবে এ স্থান নির্ধারণ করে। তিনি জানান, “আগামী ৫ আগস্ট স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।”
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন জমি শেখ রাসেল ফাউন্ডেশনের নামে একসনা বন্দোবস্তে ইজারা নেন শামীম হক। পরে সেখানে গড়ে ওঠে শেখ রাসেল স্কয়ার ও আওয়ামী লীগ কার্যালয়। ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই এই কার্যালয়টি উদ্বোধন করেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে গত বছর জুলাই আন্দোলনের সময় সেটি জনতার হামলায় ধ্বংস হয়। এখন সেই স্থানেই গড়ে উঠছে স্মৃতি রক্ষার স্থায়ী নিদর্শন।