যশোরে পশুর হাড় ও শিং গুড়ো করে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রসাধনীর কাঁচামাল

জগতে কিছুই ফেলনা নয়। সবকিছুর উপযোগিতা আছে। একজনের কাছে যা ফেলনা, অন্যজনের কাছে তা অমূল্য সম্পদ হয়ে উঠতে পারে। আজকে যে জিনিসের উপযোগিতা বুঝতে না পেরে আমরা বর্জ্য ভেবে ফেলে দিচ্ছি; কাল সেটিরই উপযোগিতা আবিষ্কৃত হতে পারে। রাতারাতি সেটি হয়ে উঠতে পারে মহামূল্যবান কিছু।
যশোর সদর উপজেলার রুপদিয়ার হাটবিলা গ্রামের আব্দুল হাই। ২০০৩ সালে ১০ লাখ টাকা পুজি নিয়ে ফেলে দেওয়া পশুর হাড় ও শিং সংগ্রহ শুরু করেন। এরপর কারখানায় মেশিনের সাহায্যে ফেলে দেওয়া পশুর হাড় ও শিং গুড়ো করে তৈরি করা হয় বিভিন্ন প্রসাধনীর কাঁচামাল। উদ্যেক্তা আব্দুর হাই জানান, প্রথমে ব্যবসা শুরু করার সময় কসাইয়ের কাছ থেকে পশুর হাড় ও শিং সংগ্রহ করেন তিনি। প্রথম দিকে এর দাম কম ছিলো পরে এর সরবরাহ বৃদ্ধির সাথে সাথেসাথে বাড়ে এর দামও। প্রতি মাসে ৫০ টন হাড় সংগ্রহ করেন তিনি। পরে মেশিনের সাহায্যে প্রস্তুত করে বিভিন্ন কম্পানিতে কাঁচামাল হিসেবে বিক্রি করে বছরে আয় করেন প্রায় ৬ লক্ষ টাকা।
হাড় ওষুধের ক্যাপসুলের কাভার, সিরামিক শিল্পের কাঁচামাল, জৈব্য সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যে কারণে এর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।
এখানে পুরুষের পাশাপাশি কাজ করেন নারীরাও। এখানকার আয় দিয়ে চলে তাদের সংসার।
এই শিল্পের সম্ভাবনা বিশাল। প্রয়োজন সরকারি সহযোগীতা ও বাজার সম্প্রসারণ।